কুবি প্রতিনিধি
“Sustainable campus today, better future tomorrow”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা টেকসই ক্যাম্পাস জীবন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। প্রায় দুই মাসব্যাপী এ ক্যাম্পেইন চলে গত ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাম্পেইনের মূল ফোকাস ছিল চারটি বিষয়ে—পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস, পানি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাস। এ সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকে পোস্টার, ভিডিও কনটেন্ট এবং অফলাইন কার্যক্রমের ছবি প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহপাঠী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেন।
ক্যাম্পেইনের সদস্য মারজিয়া আহমেদ রিয়া বলেন, “এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা শুধু শিখিনি, বরং আশপাশের মানুষদেরও সচেতন করার চেষ্টা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু একটি জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, এখান থেকে টেকসই উন্নয়নের ধারণা ছড়িয়ে পড়লে তা সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। ছোট ছোট উদ্যোগই বড় পরিবর্তনের ভিত্তি গড়ে তোলে।”
এ বিষয়ে দলনেতা ওয়াফা আক্তার রিমু বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রদায়কে টেকসই ক্যাম্পাসের গুরুত্ব বোঝানো। আমরা বিশ্বাস করি, আজ থেকেই পরিবেশবান্ধব আচরণের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ভবিষ্যতে তা একটি সবুজ ও টেকসই সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।”
শিক্ষার্থীদের মতে, এ প্রচারণা শুধু শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতাই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বার্তাও বটে। তাদের বিশ্বাস, টেকসই জীবনযাপনের চর্চা একদিকে পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে, অন্যদিকে একটি স্বাস্থ্যকর ও সবুজ ক্যাম্পাস গড়ে তুলবে।
আয়োজকেরা জানান, এ উদ্যোগের মাধ্যমে তারা কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক পাঠের ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। পাশাপাশি বাস্তব জীবনে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ পেয়েছেন।
তাদের প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবিষ্যতে এসব উদ্যোগকে নীতিগতভাবে বাস্তবায়ন করবে, যাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি মডেল টেকসই ক্যাম্পাসে পরিণত হয়।